ঝা চকচকে বাড়ির ভিতরে, বাইরে আধলা ইটের স্তূপ জমে যায়। এমনকী ঘরের ভিতরে থাকা ফ্রিজ এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত অরবিন্দনগরে মদ খেয়ে দাদাগিরির প্রতিবাদ করায় হামলা চালানো হল এক ব্যক্তির বাড়িতে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম গোরাচাঁদ ভুঁইয়া।
গতকাল রাত সাড়ে তিনটের সময় তিনি কালীপুজোর বাজার সেরে ফিরছিলেন। স্টেট ব্যাংকের কর্মচারী গোরাচাঁদবাবুর বাড়ির অদূরেই মদ্যপান করছিল স্থানীয় পাঁচ যুবক। আর ওই একই সময়ে সকালের প্রথম ট্রেন ধরতে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন মেদিনীপুরের তিনজন ব্যক্তি। মদ্যপ অবস্থায় যুবকরা প্রথমে তাঁদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা গোরাচাঁদবাবুর কাছে এসে আশ্রয় চায়। এতেই ওই যুবকদের রোষ গিয়ে পড়ে গোরাচাঁদবাবুর উপরে। তাঁর বাড়িতে আধলা ইঁট ছুড়ে জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। বাড়ির ভিতরেও কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ঝা চকচকে বাড়ির ভিতরে, বাইরে আধলা ইটের স্তূপ জমে যায়। এমনকী ঘরের ভিতরে থাকা ফ্রিজ এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, গোরাচাঁদবাবুর মেয়ে পায়েল ভুঁইয়া-কে কটুক্তিও করে তারা। এর পরে গোরাচাঁদবাবু ও তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেয় ওই পাঁচ যুবক। সকালে হরিদেবপুরে থানায় অভিযোগ জানানো হলে জয়দীপ, কানাই এবং বিশ্বজিৎ নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।
গোরাচাঁদ ভুঁইয়া জানিয়েছেন, এর আগেও দুর্গাপুজোর সময় ওই যুবকেরা মদ্যপ অবস্থায় একই ধরনের আচরণ করেছিল। সেই সময়ে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত এই পরিবারটি। এবারে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে, আপাতত এই আশাতেই রয়েছেন গোরাচাঁদবাবু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
No comments:
Post a Comment