Thursday, November 10, 2016
Friday, November 4, 2016
Indian Railways to Roll out New AC-III Tier Coaches with CCTV, GPS & Tea-Coffee Machines
In a highly anticipated move, the Indian Railways’ new AC-III tier compartment will come loaded with features like CCTV cameras in the aisles, a GPS-based passenger information system and tea and coffee vending machines in the coaches.
The Indian Express has reported that these new coaches will be deployed on the all-AC-III tier Humsafar service mid-November. Humsafar is tentatively scheduled to run between Delhi and Gorakhpur in Uttar Pradesh. The new coaches designed by the Rail Coach Factory in Rae Bareli, Uttar Pradesh will be part of four trains as of now.
Apart from these, the coaches will also boast of the following super cool features:
- A GPS-based passenger information system above each door
- A fire-and-smoke detector
- Automatic room-freshener dispensers
- Replacing the current steel number plates with a light bar similar to the one used by airlines with numbers indicating upper, lower and middle berths
- New gel-coated toilet walls to save the toilets from unwanted graffiti
- Curtains for side berths and in the aisles
- New interior and exterior colour schemes
- Disabled-friendly coaches with integrated Braille displays
“Earlier, the thinking was that extra or new features could be added only in higher classes. But this is reimagining an existing class, without giving it a luxury tag,” a senior rail ministry official told The Indian Express.
Wednesday, November 2, 2016
বাড়াতে হবে ইমাম ও মোয়াজ্জেন ভাতা, দাবিতে কলকাতায় পথে নামছে ৪০টি মুসলিম সংগঠন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন ইমামরা
ইমাম ও মোয়াজ্জেন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৮ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামছে মুসলিম সংগঠনগুলি। প্রায় ১০,০০০ মানুষের জমায়েতের ডাক দিয়েছে ৪০টি মুসলিম সংগঠন।
ক্ষমতায় এসেই ২০১২ সালের এপ্রিলে ইমামদের জন্য মাসির ২,৫০০ টাকা ও মোয়াজ্জেনদের জন্য ১,০০০ টাকা ভাতা চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারকে ভর্ৎসনা করে সেই ভাতাকে অবৈধ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, ধর্মনিরপক্ষ দেশে বিশেষ সম্প্রদায়কে ভাতা দেওয়া অসাংবিধানিক। এর পর ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে ওই টাকা বিলি করে রাজ্য সরকার।
যদিও চলতি ভাতায় নাখুশ ইমাম ও মোয়াজ্জেনদের একাংশ। তাঁদের দাবি, মাসিক ২,৫০০ টাকায় কিছুই হয় না। তাই অন্তত ১০ গুণ ভাতাবৃদ্ধির দাবি তুলেছেন তাঁরা। মুসলিম সংগঠনগুলির দাবি, ইমামদের মাসিক ভাতা ২০,০০০ টাকা ও মোয়াজ্জেনদের মাসিক ১০,০০০ টাকা দিতে হবে সরকারকে। এই দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর কলকাতায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা।
এখানেই শেষ নয়। সারা বাংলা ইমাম ও মোয়াজ্জেন সমিতির সভাপতি রফিকুল হোসেন বলেন, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ’ প্রকল্পে ইমাম ও মোয়াজ্জেনদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঘর পাননি কেউ।’
ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম প্রীতি নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার ঝড় উঠেছে ট্যুইটারে। হজে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিলেও কাশ্মীরে শহিদ জওয়ানের পরিবারকে মাত্র ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তৃণমূল সরকার। ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু তোষণের সস্তা রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
Sunday, October 30, 2016
ঝাঁ চকচকে বাড়িটির এই হাল কেন? জানলে শিউরে উঠবেন|
ঝা চকচকে বাড়ির ভিতরে, বাইরে আধলা ইটের স্তূপ জমে যায়। এমনকী ঘরের ভিতরে থাকা ফ্রিজ এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত অরবিন্দনগরে মদ খেয়ে দাদাগিরির প্রতিবাদ করায় হামলা চালানো হল এক ব্যক্তির বাড়িতে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম গোরাচাঁদ ভুঁইয়া।
গতকাল রাত সাড়ে তিনটের সময় তিনি কালীপুজোর বাজার সেরে ফিরছিলেন। স্টেট ব্যাংকের কর্মচারী গোরাচাঁদবাবুর বাড়ির অদূরেই মদ্যপান করছিল স্থানীয় পাঁচ যুবক। আর ওই একই সময়ে সকালের প্রথম ট্রেন ধরতে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন মেদিনীপুরের তিনজন ব্যক্তি। মদ্যপ অবস্থায় যুবকরা প্রথমে তাঁদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা গোরাচাঁদবাবুর কাছে এসে আশ্রয় চায়। এতেই ওই যুবকদের রোষ গিয়ে পড়ে গোরাচাঁদবাবুর উপরে। তাঁর বাড়িতে আধলা ইঁট ছুড়ে জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। বাড়ির ভিতরেও কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ঝা চকচকে বাড়ির ভিতরে, বাইরে আধলা ইটের স্তূপ জমে যায়। এমনকী ঘরের ভিতরে থাকা ফ্রিজ এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, গোরাচাঁদবাবুর মেয়ে পায়েল ভুঁইয়া-কে কটুক্তিও করে তারা। এর পরে গোরাচাঁদবাবু ও তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেয় ওই পাঁচ যুবক। সকালে হরিদেবপুরে থানায় অভিযোগ জানানো হলে জয়দীপ, কানাই এবং বিশ্বজিৎ নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।
গোরাচাঁদ ভুঁইয়া জানিয়েছেন, এর আগেও দুর্গাপুজোর সময় ওই যুবকেরা মদ্যপ অবস্থায় একই ধরনের আচরণ করেছিল। সেই সময়ে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত এই পরিবারটি। এবারে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে, আপাতত এই আশাতেই রয়েছেন গোরাচাঁদবাবু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
পুর নোটিসকে বুড়ো আঙুল, সিন্ডিকেটের ইন্ধনে বিদ্যাসাগর কলোনিতে চলছে বেআইনি নির্মাণ
কাজ বন্ধ রাখার নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার! বাঘাযতীন এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। অভিযোগ, অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে একটি সিন্ডিকেটের সক্রিয় মদত।
কাজ বন্ধ রাখার নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার! বাঘাযতীন এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। অভিযোগ, অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে একটি সিন্ডিকেটের সক্রিয় মদত।
বিদ্যাসাগর কলোনিতে একাধিক ছোট জমিতে চলছে ফ্ল্যাট তৈরির কাজ। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর ‘স্টপ ওয়ার্কিং’য়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই পুর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে চলছে নির্মাণের কাজ। স্থানীয় সূত্রের খবর, নোটিস অগ্রাহ্য করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সিন্ডিকেট পুর নোটিস অগ্রাহ্য করে নির্মাণে মদত দিচ্ছে। পাশাপাশি, নয়া কৌশলে টাকা আদায় করছে ওই সিন্ডিকেট।
কেমন সেই কৌশল ?
বিদ্যাসাগর কলোনিতে কোনও নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি হতে দেখলে সিন্ডিকেটের লোকেরা পুরসভায় অভিযোগ জানাচ্ছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুরকর্মীরা সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ পরিদর্শনের পর ‘স্টপ ওয়ার্কিং’ নোটিস জারি করেছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাজ বন্ধের নির্দেশের পর সিন্ডিকেটকে মোটা টাকা দিলেই ফের শুরু হচ্ছে নির্মাণ। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের অনুমোদিত নকশা নেই। ফলে ফ্ল্যাটগুলিতে নিয়ম অনুযায়ী নেই নিকাশি ব্যবস্থাও। বেআইনি নির্মাণের বিষয় সম্পর্কে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলোনিতে তিনতলা বাড়ি নির্মাণের অনুমতি নেই। কিন্তু তিনতলা বাড়ি, ফ্ল্যাট হয়েই চলেছে। এটা সর্বজন স্বীকৃত। এই সমস্ত এলাকায় নির্মাণের ক্ষেত্রে এখনও কোনও সংশোধনী তৈরি হয়নি। যে কারণে নির্মাণ বেড়েই চলেছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বাঘাযতীনের শ্রী কলোনি লাগোয়া ৪/৩৭ বি, সুভাষ পল্লিতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। কিন্তু ওই বাড়িগুলির সদস্যেরা ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওখানে একটি চারতলা ফ্ল্যাটের কাজ শুরু হয়েছে। ওই নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভায় অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। দিনকয়েক ওই নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। সূত্রের খবর, চারতলা ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ চালু করতে এগিয়ে এসেছে সিন্ডিকেট। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্টপ ওয়ার্কিং নোটিসের পরও যদি কাজ চলতে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুর দফতরে অভিযোগ জানাতে হবে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’
বেআইনি নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর কলোনিতে জলাজমি ভরাট করে প্রোমোটিং চলছে। জলা বুজিয়ে প্রোমোটিংয়ের পিছনেও সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের যুক্তি, নথিপত্র অনুযায়ী ওই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৭টি পুকুর রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এলাকায় পুকুরের সংখ্যা মাত্র ১৪।
কাজ বন্ধ রাখার নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার! বাঘাযতীন এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। অভিযোগ, অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে একটি সিন্ডিকেটের সক্রিয় মদত।
বিদ্যাসাগর কলোনিতে একাধিক ছোট জমিতে চলছে ফ্ল্যাট তৈরির কাজ। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর ‘স্টপ ওয়ার্কিং’য়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই পুর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে চলছে নির্মাণের কাজ। স্থানীয় সূত্রের খবর, নোটিস অগ্রাহ্য করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সিন্ডিকেট পুর নোটিস অগ্রাহ্য করে নির্মাণে মদত দিচ্ছে। পাশাপাশি, নয়া কৌশলে টাকা আদায় করছে ওই সিন্ডিকেট।
কেমন সেই কৌশল ?
বিদ্যাসাগর কলোনিতে কোনও নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি হতে দেখলে সিন্ডিকেটের লোকেরা পুরসভায় অভিযোগ জানাচ্ছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুরকর্মীরা সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ পরিদর্শনের পর ‘স্টপ ওয়ার্কিং’ নোটিস জারি করেছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাজ বন্ধের নির্দেশের পর সিন্ডিকেটকে মোটা টাকা দিলেই ফের শুরু হচ্ছে নির্মাণ। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের অনুমোদিত নকশা নেই। ফলে ফ্ল্যাটগুলিতে নিয়ম অনুযায়ী নেই নিকাশি ব্যবস্থাও। বেআইনি নির্মাণের বিষয় সম্পর্কে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলোনিতে তিনতলা বাড়ি নির্মাণের অনুমতি নেই। কিন্তু তিনতলা বাড়ি, ফ্ল্যাট হয়েই চলেছে। এটা সর্বজন স্বীকৃত। এই সমস্ত এলাকায় নির্মাণের ক্ষেত্রে এখনও কোনও সংশোধনী তৈরি হয়নি। যে কারণে নির্মাণ বেড়েই চলেছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বাঘাযতীনের শ্রী কলোনি লাগোয়া ৪/৩৭ বি, সুভাষ পল্লিতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। কিন্তু ওই বাড়িগুলির সদস্যেরা ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওখানে একটি চারতলা ফ্ল্যাটের কাজ শুরু হয়েছে। ওই নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভায় অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। দিনকয়েক ওই নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। সূত্রের খবর, চারতলা ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ চালু করতে এগিয়ে এসেছে সিন্ডিকেট। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্টপ ওয়ার্কিং নোটিসের পরও যদি কাজ চলতে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুর দফতরে অভিযোগ জানাতে হবে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’
বেআইনি নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর কলোনিতে জলাজমি ভরাট করে প্রোমোটিং চলছে। জলা বুজিয়ে প্রোমোটিংয়ের পিছনেও সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের যুক্তি, নথিপত্র অনুযায়ী ওই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৭টি পুকুর রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এলাকায় পুকুরের সংখ্যা মাত্র ১৪।
কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে তৈরি দু’টি এনার্জি পার্কের বেহাল অবস্থা, হাল ফেরাতে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকার
জনসাধারণের মধ্যে বিকল্প শক্তির উৎস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় অনুদানে কলকাতা এবং দুর্গাপুরে তৈরি হয়েছিল এনার্জি এডুকেশন পার্ক। কিন্তু ইএম বাইপাসে সায়েন্স সিটির উল্টোদিকে কয়েককোটি টাকা খরচ করে নির্মিত পার্কটি এক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
অচিরাচরিত শক্তি থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে তৎপর হলেও এনার্জি পার্কের হাল ফেরাতে আগ্রহী নয় রাজ্য সরকার।
জনসাধারণের মধ্যে বিকল্প শক্তির উৎস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় অনুদানে কলকাতা এবং দুর্গাপুরে তৈরি হয়েছিল এনার্জি এডুকেশন পার্ক। কিন্তু ইএম বাইপাসে সায়েন্স সিটির উল্টোদিকে কয়েককোটি টাকা খরচ করে নির্মিত পার্কটি এক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিত্যক্ত পার্কটিতে গজিয়ে ওঠা আগাছার জঙ্গল এবং জমে থাকা জল কার্যত মশার আঁতুড়ঘর। একই অবস্থা দুর্গাপুরের পার্কটিরও। অথচ দিল্লি, শিলং, পুণে, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের পার্কগুলি দিব্যি চলছে।
এক সময় ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা শান্তিপদ গণচৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, “পার্কগুলির জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গেলে দ্রষ্টব্যে নিয়মিত বদল আনতে হবে। নতুন গবেষণার বিষয়ও সেখানে উঠে আসা জরুরি। এখানে পেশাদারিত্বের অভাব হলে মুশকিল।” কিন্তু এনার্জি পার্ক নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পার্ক আর চালানো হবে না। তার বদলে সচেতনতা বাড়াতে সরকার বিকল্প কর্মসূচি নেবে।”
১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রক অচিরাচরিত শক্তি সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক রাজ্যে এনার্জি এডুকেশন পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ সে সময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। ফলে অন্য রাজ্যগুলিতে একটি করে পার্ক তৈরি হলেও পশ্চিমবঙ্গে দু’টি পার্ক তৈরির জন্য অর্থ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রথমে স্কুল-কলেজের পড়ুয়া ছাড়াও সাধারণ মানুষ টিকিট কেটে পার্কে যেতেন। কিন্তু পরে দর্শক সংখ্যা কমতে থাকে বলে জানায়, রাজ্য সরকার। দাবি, দর্শকের অভাবে পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও উঠত না। তাই অর্থ খরচ করে পার্ক চালাতে আগ্রহী নয় রাজ্য।
অথচ এই রাজ্য সরকার-ই বর্তমানে সৌরবিদ্যুৎ ছাড়া বিভিন্ন অচিরাচরিত শক্তি থেকে কমবেশি ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। রাজ্যের দুর্গম এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে অপ্রচলিত শক্তির উৎসকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি পার্কগুলির হাল ফেরাতে সরকারের অনীহা সেই লক্ষ্যপূরণেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী ক’দিন ছুটি নিয়েছেন? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের কামাইয়ের রেকর্ড কী?
তথ্য জানার অধিকার আইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছুটির তালিকা চান এক ব্যক্তি। তার প্রেক্ষিতেই রিপোর্ট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী দফতর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে একদিনের জন্য ছুটি নেননি। আরও স্পষ্ট ভাষায় বলা ভাল যে তিনি একদিনও ছুটি পাননি। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বক্তব্য— ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী পূর্ণসময়ের কর্মী। তাঁর কোনও ছুটি হয় না।
তথ্য জানার অধিকার আইনে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী দফতরের কাছে এবং মন্ত্রিসভার সচিবালয়ের কাছে আলাদা আলাদা করে জানতে চায়, ভারতে প্রধানমন্ত্রীর ছুটি নেওয়ার নিয়ম কী? তারই জবাবে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে সব সময়ে ‘অন-ডিউটি’ বলা যায়। ওই আবেদনকারী আরও জানতে চেয়েছিলেন যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী, এইচ ডি দেবগৌড়া, আই কে গুজরাল, পি ভি নরসিংহ রাও, চন্দ্রশেখর, ভি পি সিংহ এবং রাজীব গাঁধীরা কি কোনও ছুটি নিয়েছেন? তার কি কোনও রেকর্ড রয়েছে?
তারই জবাবে বলা হয়েছে, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা কে কতদিন ছুটি নিয়েছেন তার কোনও রেকর্ড রাখা নেই তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথগ্রহণের পরে একটিও ছুটি নেননি।’
ওই আবেদনকারী মন্ত্রিসভার সচিবালয়ে যে আবেদন জানান তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যায়। আর তার জবাবে স্পষ্টই জানানো হয়েছে যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছুটি নেওয়ার কোনও রেকর্ড দফতরে রাখা নেই।
২০১৭ সালে অনেক লম্বা লম্বা ছুটি, তালিকা দেখে এখনই বেড়ানোর প্ল্যান করে নিন
নতুন বছর এসেই গেল। কিন্তু সেই বছরটায় ছুটি কবে কবে? শনি-রবিবারের ধাক্কায় কটা ছুটি নষ্ট হচ্ছে? কোন দিন ছুটি নিলে লম্বা অবকাশ?
যে যতই কাজ ভালবাসুন, ছুটির প্রতি ভালবাসা নেই এটা হতেই পারে না। আর বাঙালির তো কথাই নেই। বারো মাসে তেরো পার্বন নিয়ে রসে বসে ছুটি কাটাতে বাঙালি মাত্রই ভালবাসেন। আর সেই ছুটিটা যদি একটু লম্বা হয় তবে তো কথাই নেই। দুম করে কোথাও একটা চলে যাওয়া যায়। কিন্তু ইদানীং দুম করে কোথাও চলে যাওয়াটা সহজ নয়। চাইলেই মেলে না পছন্দের হোটেল, ট্রেনের টিকিট। তাই পরিকল্পনাটা হওয়া উচিত অনেক আগে।
তাই এখন থেকেই দেখে নিন সারা বছর কবে কবে ছুটি আছে। শনি-রবিবারের ধাক্কায় কটা ছুটি নষ্ট হচ্ছে? কোন দিন ছুটি নিলে লম্বা অবকাশ?
২০১৬ সালাটায় ছুটি একটু বেশিই ছিল। বছরের শেষদিনটাও ছুটি পড়েছে। কারণ, ৩১ ডিসেম্বর শনিবার। আর ঠিক তেমনভাবেই নতুন বছরের প্রথম দিনটাই অর্থাৎ বছরের প্রথম ছুটিটাই নষ্ট। ১ জানুয়ারি রবিবার।
এর পরে জানুয়ারি মাসে আর ছুটি নষ্ট নেই। ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দ জয়ন্তী মঙ্গলবার, নেতাজি জয়ন্তী ২৩ জানুয়ারি সোমবার আর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস মঙ্গলবার। অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি সোমবার ছুটি নিতে পারলে টানা চারদিনের ছুটি কিন্তু ২৩ থেকে ২৬ ছুটি কাটানোটা একটু চাপের।
ফেব্রুয়ারিতে একটাই ছুটি, সরস্বতী পুজো। ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার। ২০১৬ সালে শিবরাত্রিতে সরকারি ছুটি দিয়েছে রাজ্য। আগামী বছরে আর সেই ছুটিটি পাচ্ছেন না। কারণ, আগামী শিবরাত্রি ২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। মার্চেও একটিই ছুটি, দোলযাত্রা, ১২ তারিখ রবিবার। তবে রাজ্যে দোলের পর দিনেও ছুটি থাকে। সেই হিসেবে এই সময়েও তিন দিনের টানা ছুটি। শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে যাওয়ার প্ল্যান করতেই পারেন।
এপ্রিলে একটু দুঃখ রয়েছে। দু’টো ছুটি মিলে গিয়েছে। একটা ছুটি নষ্ট। ১৪ এপ্রিল, গুড ফ্রাইডের দিনেই আম্বেদকর জয়ন্তী। তার পরের দিন, শনিবার ১৫ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখ। সেই দুঃখ মিটিয়ে দেবে মে দিবসের ছুটি। ১ মে পড়েছে সোমবার। মানে ঠিকঠাক প্ল্যান করলে তিন দিনের ছোট্ট একটা ট্রিপ হতেই পারে।
এর পরে একটা ছুটি নেওয়ার প্ল্যান করুন ৮ মে সোমবার। আগের দু’দিন শনি-রবি ছুটি তো রয়েছেই সেই সঙ্গে পরের দিন ৯ মে পঁচিশে বৈশাখ। ২৬ জুন সোমবারও তিন দিনের ছুটি নিয়ে আসছে ইদুলফিতর। এর পরেই পুজোর ছুটি। আর সেটা যদি মুখ্যমন্ত্রী একটু সদয় হন তবে টানা ১৬ দিনের। হিসেবটা দেখে নিন।
পঞ্জিকা অনুসারে, ২০১৭ সালে দুর্গাপুজো সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। ১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ষষ্ঠী ২৬শে, মঙ্গলবার। রাজ্য সরকারের নিয়ম মতো সেই দিন থেকেই সরকারি অফিসে ছুটি পড়ার কথা। সেই ছুটি চলার কথা ৬ অক্টোবর, শুক্রবার অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন পর্যন্ত। এর পরের দু’দিন শনি-রবিবার থাকায় ছুটি হয়ে যাচ্ছে টানা ১৩ দিন।
এবার মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চমীর দিন পুজোর ছুটি শুরু করেছেন। ফলে সরকারি কর্মীদের বড় অংশের আশা, আগামী বছরও সেই ছুটি থাকবে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটি কমিয়ে দেওয়ার মানুষ নন। একবার যে ছুটি শুরু হয়েছে, সেটা আর বন্ধ হবে না। এমন জল্পনা চলছিলই, কিন্তু তা আরও পাকা হল কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামীবার উৎসব শুরু হবে মহালয়া থেকেই। ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর দিন পড়েছে সোমবার। তার আগেও আবার রয়েছে শনি ও রবি। সরকারি অফিস বন্ধ। সেই হিসেবে ছুটি হবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। টানা ১৬ দিন!
এটা অনেক লম্বা ছুটি। সুতরাং সেটা প্রাপ্য হলে তো কথাই নেই। তার জন্য যে দু’টি ছুটি নষ্ট হচ্ছে তার জন্য নিশ্চয়ই বাঙালি আক্ষেপ করবেন না। এই লম্বা ছুটির মধ্যেই চলে যাচ্ছে ১ অক্টোবর মহরম এবং ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তী। এর পরের ছুটি কালীপুজো ১৮ অক্টোবর বুধবার। ২০১৬ সালে কালীপুজোর বিসর্জনের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই ছুটি পরের বছরেও দেওয়া হবে কিনা সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ২০ অক্টোবর শুক্রবার ভাইফোঁটা। তিন দিনের জন্য দিদি বা বোনের বাড়ি যাওয়াই যায়। আর কালীপুজোর পরের দু’দিন দেওয়ালি আর বিসর্জন উপলক্ষ্যে সরকার ছুটি ঘোষণা করলে তো কথাই নেই। ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর টানা পাঁচ দিনের ছুটি-ছুটি-ছুটি।
৪ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মদিন শনিবার কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন সোমবার। পিকনিক সারতে এবার একটু দূরের ডেস্টিনেশন বাছাই যায়।
Thursday, October 27, 2016
Monday, October 24, 2016
মুসলিম মহিলাদের জীবন নষ্ট হতে দিতে পারি না, তিন তালাককে তুলোধনা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে, তিন তালাক ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে কেউ কেউ। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণতন্ত্রে আলোচনা হওয়া উচিত। সরকার তিন তালাক নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। তিন তালাকের বিষয়টিকে যারা অন্যপথে চালনা করতে চাইছে তারা অসাধু।” প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, “ তিন তালাকের মাধ্যমে দেশের মুসলিম মহিলাদের জীবন নষ্ট হতে দেবে না সরকার।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টে সরকার স্পষ্ট জানিয়য়েছে, ধর্মের কারণে মহিলাদের উপর কোনও অত্যাচার হওয়া উচিত নয়। একই কারণে মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণও গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমি ভেবে অবাক হচ্ছি যে, এই একবিংশ শতকেও মহিলাদের উপর অবিচারের পক্ষে ঝুঁকে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের লালসায়। এটা কী ধরনের বিচার?”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে যখন টিভিতে বিতর্ক হয়, তখন সেই বিতর্ককে হিন্দু-মুসলমান রং দেবেন না। বিতর্ক হওয়া উচিত মুসলিম সমাজে যাঁরা পরিবর্তন চান সে সব মানুষের সঙ্গে তাঁদের, যাঁরা দেশবাসীকে জানাতে চান না আসল বিষয়টা কী।”
Saturday, October 22, 2016
মোদির প্রতি দেশবাসীর ভালবাসার একটি ছোট্ট উদাহরন |
নবজাতকের বাবা-মায়ের মনোবাঞ্ছা পূরণ করে তার নাম ঠিক করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী! এমন সৌভাগ্য হল উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক দম্পতির।
এমন একটা অভাবনীয় কিছু হওয়ার স্বপ্নই দেখেছিলেন তাঁরা। ১৩ আগস্ট কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দু মাস আগেই মির্জাপুরের ভরত সিংহ, তাঁর স্ত্রী ঠিক করেন, ছেলে-মেয়ে যাই-ই হোক, তার নামকরণ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা মোদী-সমর্থক, কাজেই এমন ইচ্ছে হওয়ার পিছনে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। কন্যাসন্তানের জন্মের দিনই ভরতের স্ত্রী নিজের মনোবাসনা উল্লেখ করে মোদীকে চিঠি লিখে পাঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও)। তিনি কন্যাসন্তানদের বাঁচাতে মোদীর অবদানের কথা লেখেন, চিঠিতে অলিম্পিক্সে ভারতের মেয়েদের বিরাট সাফল্যের উল্লেখও করেন। সাতদিনের মাথায়, ২০ আগস্ট বিকালে পিএমও থেকে ফোন পান ভরত। ফোনের ওপারে স্বয়ং মোদী! নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। মেয়ের বাবা হওয়ার জন্য ভরতকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা জানান মোদী। এখানেই শেষ নয়, ভরত ও তাঁর স্তীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁদের মেয়ের নামও ঠিক করে দেন—‘বৈভবী’।
আনন্দে আত্মহারা ভরতের মুখ থেকে পুরো কাহিনি শুনে বিশ্বাসই করতে চাননি গ্রামের কেউ। তাঁকে নিয়ে মজা-মস্করা, ঠাট্টা-বিদ্রূপও চলে। ভরত পিএমও-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানান, গ্রামবাসীরা কেউ তাঁর কথা সত্যি বলে মানছে না, তাই প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর মেয়ের নাম রেখেছেন, সেটা যেন লিখিত ভাবে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ৩০ আগস্ট পিএমও থেকে সত্যিই একটি চিঠি পান ভরত। তাতে লেখা রয়েছে, আপনার ঘর আলো করে এসেছে একটি কন্যাসন্তান। আপনাকে দারুণ অভিনন্দন। আমার শুভেচ্চা রইল, বৈভবীর স্বপ্ন আপনারা পূরণ করুন, আপনাদের শক্তি হয়ে উঠুক ও।
ভরত বলেছেন, মেয়েদের মঙ্গলের কথা যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ভাবেন, সেজন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা। উনি মেয়ের নাম রেখেছেন, জীবনে এটা বিরাট পাওয়া।
Friday, October 21, 2016
ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত ৮ পাক সেনা
জম্মু-কাশ্মীরের কাথুয়া সেক্টরে অনুপ্রবেশ কালে ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে নিহত হল আট পাক রেঞ্জার৷শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় একদল পাক সেনা কাশ্মীর সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল৷ সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে প্রতিরোধ করে৷ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাক সেনারা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে৷পাল্টা জবাব দিতেই ভারতীয় সেনার গুলিতে আট পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে৷মৃতদের মধ্যে একজন জঙ্গিও আছে বলে জানা গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, কাথুয়া সেক্টরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা টহল দেয়ার সময় পাক জওয়ানদের লক্ষ্য করে৷ তখনই তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল জওয়ানরা৷বিএসএফ সূত্রে খবর, পাক সেনাদের সঙ্গে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরাও৷ভারতীয় জওয়ানদের প্রতিরোধ পেয়েই গুলি শুরু করে তারা৷পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় জওয়ানরাও৷
উরি হামলা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সীমান্তে নিরাপত্তা কঠোর করেছে বিএসএফ৷কিছুদিন আগেই ছয় পাক অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করেছিল সেনাএমনকি দু’দিন হল বারামুলা শহরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ জওয়ানরা ও কাশ্মীর পুলিশ৷তাদের কাছে খবর রয়েছে যে, দুই পাক জঙ্গি অনুপ্রবেশ করে আত্মগোপন করেছে বারামুলায়৷এমনকি সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে টানা ১২৪০ ঘণ্টা গুলি চালাচ্ছে পাক সেনারা৷ তাদের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারতীয় জওয়ানদের অন্যত্র ব্যস্ত রেখে জঙ্গি অনুপ্রবেশে সাহায্য করা৷এছাড়া শুক্রবার সকালে পাক সেনার গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক ভারতীয় জওয়ান গুরনাম সিং৷ জানা গিয়েছে, জম্মুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে৷
Wednesday, October 19, 2016
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম বাবুলসহ দুই
বর্ধমান: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আসানসোল৷ মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়৷ মন্ত্রীর বাড়িতে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের বিক্ষোভের শুরু হতেই পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়৷ বিজেপির নেতা-কর্মীদের ঘেরাও কর্মসূচির জেরে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে৷ তৃণমূল কর্মীদের তাণ্ডবে জখম হন বাবুল সুপ্রিয়৷ বিক্ষোভের মধ্যে থেকে বাবুলকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়৷ ইটের ঘায়ে জখম হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ একইসঙ্গে স্থানীয় দুই বিজেপি নেতাকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলেও অভিযোগ ওঠে৷ আসানসোলের বিএনআর মোড়ে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ পুলিশের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আসানসোল৷
বুধবার বিজেপি আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয়। গত মঙ্গলবার আসানসোলে গোরু পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে ধরে ফেলেন বাবুল সুপ্রিয়। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। নেতৃত্ব ছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এদিন মলয় ঘটকের বাড়ি ঘেরাওয়ের খবর পাওয়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও রাস্তায় নেমে পরেন। বিজেপির অভিযোগ, আসানসোলের বিএনআর মোড়ে বিজেপি নেতা সুব্রত মিশ্রকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর আসানসোল পুর-নিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, চেয়ারম্যান ও ডেপুটি মেয়র সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা জড়ো হতে থাকেন। পরে তৃণমূল নেতারা আসানসোলের বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস রায়, বিজেপি নেতা প্রশান্ত চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতাদের বাধা দিতে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময় তাপস রায়, প্রশান্ত চক্রবর্তীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
৫০ টি গরুর জবাই রুখে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়
গরু পাচার রুখলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার বিকেলে আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত চাঁদমারি এলাকায় রাইফেল ক্লাবে একটি শুট্যিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। পথে দেখেন ৫০ থেকে ৬০ টি গরুকে নিয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন। সুত্র থেকে জানা গিয়েছে গরু গুলিকে আসানসোলের কসাইমহল্লা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জবাই করার জন্য। কসাইমহল্লা থেকেই গোমাংস গোটা রাজ্যে ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড, বিহারে সরবরাহ হয়। রাস্তা দিয়ে গরু পাচার হতে দেখে বাবুল সুপ্রিয়ের সন্দেহ হয়। দাঁড়িয়ে যায় বাবুলের কনভয়। তা দেখে গরু গুলিকে ফেলেই ছুট লাগায় পাচারকারীরা। বাবুল তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন পাচারকারীদের ধরার জন্য। জুটে যায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও। সবাই মিলে ধাওয়া করে ৫ জন পাচারকারীকে ধরে ফেলে। তাদের উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গরুগুলিকেও উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাবুল সুপ্রিয় জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মদত না থাকলে এ জিনিস চলতে পারে না। নাম না করে তিনি আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককেও একহাত নেন।
Friday, October 14, 2016
चिकनगुनिया के दर्द से उबरने के लिए आजमाएं ये बेहद आसान तरीका |
बुखार से सिरदर्द और बदन दर्द होता है, लेकिन अगर बुखार चिकनगुनिया या डेंगू के कारण हो, तो शरीर का हर अंग और हर जोड़ दर्द करता है.
चिकनगुनिया का मरीज बुखार से ठीक होने के बाद भी जोड़ो में होने वाले दर्द की वजह से 15 से 20 दिनों तक ठीक से चल फिर नहीं पाता. कभी-कभी ये दर्द साल भर तक रहता है और बार-बार उभरता भी है. ऐसी कई शिकायत के साथ लोग डॉक्टर के पास पहुंच रहे हैं.
वायरल और चिकनगुनिया की पहचान है संभव
वायरल फीवर और चिकनगुनिया के दर्द की पहचान भी अलग-अलग की जा सकती है. वायरल का दर्द मसल्स में होता है और चिकनगुनिया शरीर के हर एक जोड़ में दर्द देता है.चाहे वो हाथों की उंगलियों का हर एक जोड़ हो या फिर कुहनियां.
चिकनगुनिया से पंजे, घुटना, तलवा, हथेली, गर्दन या फिर एड़ी में दर्द इतना होता है कि चलना-फिरना तक मुहाल हो जाता है. यहा तक की जोड़ों में तक सूजन आ जाती है.
- चिकनगुनिया से रिकवरी इम्यून सिस्टम पर निर्भर करती है.
- चिकनगुनिया का दर्द 2-3 हफ्ते से लेकर करीब साल तक चल सकता है.
- अगर ठीक तरीके से देखभाल की जाए, तो मरीज को 2-3 हफ्ते में ठीक हो जाते हैं.
- 20-30 फीसदी मरीजों का दर्द ठीक होने में 1-2 महीने या साल भर का वक्त लगता लग सकता है.
- ऐसे मरीजों को दर्द के साथ बुखार भी हो सकता है.
एहतियात ही इलाज है
चिकनगुनिया के मरीजों को साधारण पारासिटामोल, ताकत विटामिन की दवाएं दी जाती हैं. चूंकि इस बुखार में दर्द बहुत होता है, इसलिए अक्सर मरीज पेनकिलर खा लेते हैं.
ऐसे बुखार में पेनकिलर खाने से बचना चाहिए. पेनकिलर का सीधा असर शरीर के दूसरे अंगों पर होता है और किडनी तक खराब होने का डर रहता है.
चिकनगुनिया के बुखार और दर्द को नजरअंदाज नहीं करना चाहिए. चिकनगुनिया का कोई इलाज या टीकाकरण नहीं है.
डायबिटीज और हार्ट के मरीज खुद से न लें दवाएं
डायबिटीज और हार्ट के मरीजों को चिकनगुनिया का बुखार है, तो वे खुद से दवाएं बिलकुल न लें. अगर किसी मरीज को जोड़ों में ज्यादा दर्द है और कई दिनों तक है, तो उन्हें नजरअंदाज न करते हुए स्पेशलिस्ट से मिलें.
वर्ल्ड हेल्थ ऑर्गेनाइजेशन के अनुसार,चिकनगुनिया के मरीज को घर पर आराम करने से देखभाल शुरू करनी चाहिए. इससे शरीर को आराम मिलता है. वह ऐसे वातावरण में आराम करें, जहां ज्यादा नमी या गरमी न हो. नमी और गरमी से जोड़ों का दर्द और बढ़ सकता है .
डॉ. डुरेजा बताते हैं कि अगर इस दर्द को ज्यादा समय तक नजरअंदाज किया जाए, तो यह शरीर में स्थायी रूप धारण कर लेता है.
दर्द से निपटने के उपाय :
बर्फ का पैक लगाएं: ठंडा आइस पैक लगाने से दर्द व सूजन काम होती है. एक कपड़े या तौलिये में बर्फ को लपेट कर सूजन वाले क्षेत्रों पर रखने से काफी राहत मिलती है.
अगर दर्द हल्का है और अकड़न ज्यादा है तो गर्म थैली से सिकाई करनी चाहिए.
दर्द की दवा लीजिए: पेरासिटामोल या एसिटामिनोफेन से बुखार और जोड़ों का दर्द कम होता है.
चिकनगुनिया में पेनकिलर नुकसानदायक हो सकती हैं. मरीज को दिनभर में कम से कम 4 लीटर पानी पीना चाहिए.
सरल व्यायाम कीजिए: सरल व्यायाम, जैसे की कुर्सी पर बैठकर टांगें सीधी करना या उठकर सीधे खड़े होकर पैर ऊपर की और उठाने से मांसपेशियां मजबूत होती हैं और जोड़ों का दर्द कम होता है.
ऐसे मरीजों को सुबह व्यायाम करने से सबसे ज्यादा लाभ मिलता है.
फेस्टिव सीजन में सरकार का प्लान, अब डाक से पहुंचेगी सस्ती दाल : पढ़िए कैसे !!
सरकार ने त्योहारी मौसम में आम लोगों तक कम कीमत पर दालों को पहुंचाने के लिए डाक सेवा का इस्तेमाल करने का फैसला लिया है. इसके अलावा स्टॉक से ज्यादा मात्रा में चना उपलब्ध करने का फैसला भी लिया है.
यह फैसला शुक्रवार को दिल्ली में आयोजित वस्तुओं की कीमतों पर अंतर मंत्रालय समिति ने लिया है.
बैठक में कीमतों की समीक्षा
समिति ने आवश्यक वस्तुओं मुख्यत: दालों की उपलब्धता और कीमतों की समीक्षा की. बैठक के दौरान फैसला लिया गया कि सभी राज्यों में पर्याप्त सरकारी आउटलेट न होने की स्थिति में अब सरकार डाक नेटवर्क के जरिए दालों का वितरण करेगी.
बैठक में कहा गया कि अबतक 500 खरीद केंद्र खोले जा चुके हैं, जहां किसानों को चेक या बैंक के माध्यम से तुरंत भुगतान किया जा रहा है. सरकार ने चालू सत्र में 50,000 टन खरीफ दालों की खरीद का लक्ष्य रखा है.
बैठक में कृषि, खाद्य, वाणिज्य, राजस्व, एमएमटीसी, नैफेड के कई वरिष्ठ अधिकारियों ने भी भाग लिया.
15 अक्टूबर 2016 : शरद पूनम की रात को क्या करें, क्या न करें ?
15 अक्टूबर 2016 - शरद पूनम की रात -🌕 आत्मशांति, स्वास्थ्यलाभ।
🌕 आश्विन पूर्णिमा को ‘शरद पूर्णिमा’ या कोजागिरी भी बोलते हैं । इस दिन रास-उत्सव और कोजागर व्रत किया जाता है । गोपियों को शरद पूर्णिमा की रात्रि में भगवान श्रीकृष्ण ने बंसी बजाकर अपने पास बुलाया और ईश्वरीय अमृत का पान कराया था । अतः शरद पूर्णिमा की रात्रि का विशेष महत्त्व है । इस रात को चन्द्रमा अपनी पूर्ण कलाओं के साथ पृथ्वी पर शीतलता, पोषक शक्ति आर्युवेद एवं शांतिरूपी अमृतवर्षा करता है ।
शरद पूनम की रात को क्या करें, क्या न करें ?
दशहरे से शरद पूनम तक चन्द्रमा की चाँदनी में विशेष हितकारी रस, हितकारी किरणें होती हैं । इन दिनों चन्द्रमा की चाँदनी का लाभ उठाना, जिससे वर्षभर आप स्वस्थ और प्रसन्न रहें । नेत्रज्योति बढ़ाने के लिए दशहरे से शरद पूर्णिमा तक प्रतिदिन रात्रि में 15 से 20 मिनट तक चन्द्रमा के ऊपर त्राटक ज्योति करें ।
👉🏾अश्विनी कुमार देवताओं के वैद्य हैं । जो भी इन्द्रियाँ शिथिल हो गयी हों, उनको पुष्ट करने के लिए चन्द्रमा की चाँदनी में खीर रखना और भगवान को भोग लगाकर अश्विनी कुमारों से प्रार्थना करना कि ‘हमारी इन्द्रियों का बल-ओज बढ़ायें ।’ फिर वह खीर खा लेना ।
इस रात सूई में धागा पिरोने का अभ्यास करने से भी नेत्रज्योति बढ़ती है ।*➖ *शरद पूनम दमे की बीमारीवालों के लिए वरदान का दिन है।
छोटी हरी इलाईची को, चन्द्रमा की चाँदनी में रखी हुई खीर में मिलाकर खा लेना और रात को सोना नहीं । दमे का दम निकल जायेगा । अस्थमा के लिए
👉🏾चन्द्रमा की चाँदनी गर्भवती महिला की नाभि पर पड़े तो गर्भ पुष्ट होता है । शरद पूनम की चाँदनी का अपना महत्त्व है लेकिन बारहों महीने चन्द्रमा की चाँदनी गर्भ को और औषधियों को पुष्ट करती है।
👉🏾अमावस्या और पूर्णिमा को चन्द्रमा के विशेष प्रभाव से समुद्र में ज्वार-भाटा आता है । जब चन्द्रमा इतने बड़े दिगम्बर समुद्र में उथल-पुथल कर विशेष कम्पायमान कर देता है तो हमारे शरीर में जो जलीय अंश है, सप्तधातुएँ हैं, सप्त रंग हैं, उन पर भी चन्द्रमा का प्रभाव पड़ता है । इन दिनों में अगर काम-विकार भोगा तो विकलांग संतान अथवा जानलेवा बीमारी हो जाती है और यदि उपवास, व्रत तथा सत्संग किया तो तन तंदुरुस्त, मन प्रसन्न और बुद्धि में नयापन आता है।
खीर को बनायें अमृतमय प्रसाद खीर को रसराज कहते हैं । सीताजी को अशोक वाटिका में रखा गया था । रावण के घर का क्या खायेंगी सीताजी ! तो इन्द्रदेव जी उन्हें खीर भेजते थे।
खीर बनाते समय घर में चाँदी का गिलास आदि जो बर्तन हो, आजकल जो मेटल (धातु) का बनाकर चाँदी के नाम से देते हैं वह नहीं, असली चाँदी के बर्तन अथवा असली सोना धो-धा के खीर में डाल दो तो उसमें रजतक्षार या सुवर्णक्षार आयेंगे । लोहे की कड़ाही अथवा पतीली में खीर बनाओ तो लौह तत्त्व भी उसमें आ जायेगा।
रात्रि 8 बजे महीन कपड़े से ढँककर चन्द्रमा की चाँदनी में रखी हुई खीर 11 बजे के आसपास भगवान को भोग लगा के प्रसादरूप में खा लेनी चाहिए । लेकिन देर रात को खाते हैं इसलिए थोड़ी कम खाना और खाने से पहले एकाध चम्मच ईश्वर के हवाले भी कर देना । मुँह अपना खोलना और भाव करना : ‘लो प्रभु ! आप भी लगाओ भोग ।’ और थोड़ी बच जाय तो फ्रिज में रख देना ।
(खीर दूध, चावल, मिश्री, चाँदी, चन्द्रमा की चाँदनी - इन पंचश्वेतों से युक्त होती है, अतः सुबह बासी नहीं मानी जाती ।)
शरद पूनम का आत्मकल्याणकारी संदेश रासलीला इन्द्रियों और मन में विचरण करनेवालों के लिए अत्यंत उपयोगी है लेकिन राग, ताल, भजन का फल है भगवान में विश्रांति । संतुष्टि और तृप्ति सभी की माँग है । चन्द्रमा की चाँदनी में खीर पड़ी-पड़ी पुष्ट हो और आप परमात्म-चाँदनी में विश्रांति पाओ ।
चन्द्रमा के दर्शन करते जाना और भावना करना कि ‘चन्द्रमा के रूप में साक्षात् परब्रह्म-परमात्मा की रसमय, पुष्टिदायक रश्मियाँ आ रही हैं । हम उसमें विश्रांति पा रहे हैं । पावन हो रहा है मन, पुष्ट हो रहा है तन, ॐ शांति... ॐ आनंद...’ पहले होंठों से, फिर हृदय से जप और शांति... निःसंकल्प ईश्वर में विश्रांति पाते जाना ।
श्रीकृष्ण जी साधु रूप गोपियों से कहते हैं कि ‘‘तुम प्रेम करते-करते बाहर-ही-बाहर रुक न जाओ बल्कि भीतरी विश्रांति द्वारा मुझ अपने अंतरात्मा प्रेमास्पद को भी मिलो, जहाँ तुम्हारी और हमारी दूरी खत्म हो जाती है । मैं ईश्वर नहीं, तुम जीव नहीं, हम सब ब्रह्म हैं - वह अवस्था आ जाय । श्रीकृष्ण जो कहते हैं, उसको कुछ अंश में समझकर हम स्वीकार कर लें,
👉🏾शारद पुर्णीमा की रात को आप अपने परिवार के साथ घर की छत पर चंद्रमा की रौशनी जरूर ले इस से शरीर तंदरुस्त रहता है घर में एकता बढ़ती है
Thursday, October 13, 2016
If Pakistan and 21 other countries have abolished triple talaq, why can't India?
A large section of Muslim women has been demanding an end to triple talaq. It is time the AIMPLB (All India Muslims Personal Law Board) gave up its opposition to this.
The All-India Muslim Personal Law Board has been mulishly opposed to abolishing triple talaq, which is a procedure a Muslim adopts to divorce his wife by pronouncing talaq three times in one sitting. Most recently, the AIMPLB has expressed disquiet over a petition requesting the Supreme Court to determine the constitutional validity of triple talaq.
The AIMPLB’s position is in sharp contrast to the dominant trend worldwide. As many as 22 Muslim countries – including Pakistan and Bangladesh – or their provinces have abolished triple talaq either explicitly or implicitly.
The list includes Turkey and Cyprus, which have adopted secular family laws; Tunisia and Algeria and the Malaysian state of Sarawak, which do not recognise a divorce pronounced outside a court of law; and Iran, where triple talaq doesn’t have validity under its Shia law.
The invidious procedure of triple talaq is confined to the Sunnis alone, not only in India, but around the world.
It has often been argued in India that religious minorities of any country are relatively impervious to change. They fear any alteration in their practices could lead to them losing their religious identity. But this apprehension doesn’t afflict the Muslims of Sri Lanka, where they constitute a little less than 10% of the population.
Sri Lanka’s Marriage and Divorce (Muslim) Act, 1951, as amended up to 2006, doesn’t recognise instant divorce. This is because the law requires a husband wishing to divorce his wife to give notice of his intention to a qazi (Islamic judge), who should attempt reconciliation between the couples over the next 30 days. It is only then the husband can give talaq to his wife – that too, in the presence of the qazi and two witnesses.
In his paper, Reforms in triple talaq in the personal laws of Muslim states and the Pakistani legal system: Continuity versus change, Dr Muhammad Munir, Professor of law and Director of the Shariah Academy, International Islamic University, Islamabad, rates the Lankan law as the “most ideal legislation on triple talaq.”
Intense debate
Whether or not Sunni Muslims in India can or should reform triple talaq has been a matter of intense debate in the community for nearly a century. Even their jurists believe that the Ahsan (best) method of divorce requires the husband to give a talaq to his wife in her tuhr, or menses-free time. He can withdraw the talaq during the iddat, or waiting period, which is of approximately three months. Should he not do so, divorce kicks in after the expiry of the iddat. However, the divorced couple can remarry at a future date, precisely why this talaq is called Ahsan.
A talaq is called Hasan (good) when the husband divorces his wife a second time, following the same procedure adopted in the first instance. Once again, the husband is permitted to withdraw the talaq before the period of iddat expires. Once again, the divorced couple can remarry in the future should they so wish.
However, a talaq given the third time dissolves the marriage forthwith. There is no waiting period, no room for reconciliation, and the divorce is irrevocable. The divorced couple can remarry only if the woman marries another man and who subsequently divorces her. This system of an intervening marriage before the triply divorced couple can remarry each other is called Halala.
The Halala system is often exploited to overcome the Islamic prescription prohibiting couples from remarrying after they have been divorced thrice. Typically, the ruse involves the triply divorced couple entering into an underhand agreement with another man who marries the woman and divorces her thereafter. She is then legally free to marry the man who had divorced her thrice previously.
It might seem amusing that a woman would wish to marry the husband who has divorced her thrice, but this is precisely where the harshness of the procedure which has the husband pronounce talaq thrice in one sitting is brought out vividly. Called Talaq-ul-Bidat, it is perhaps as old as Islam itself.
Under Talaq-ul-Bidat, the husband adds “triple” to the word talaq, or simple repeats three times thus, “I am giving you talaq, I am giving you talaq, I am giving you talaq.” This has the same consequences as an irrevocable divorce and the marriage is dissolved immediately. The couple can re-marry only through the system of halala. Paradoxically, Talaq-ul-Bidat is deemed “sinful but effective.”
Usually, the quickest way a husband can irrevocably divorce his wife is to pronounce talaq in three successive tuhrs, or menses-free time. In their book, Introduction to Islamic Law, Dr Tahir Mahmood and Dr Saif Mahmood, note, “Three consecutive tuhrs (menses-fee time) are the minimum period allowed for this period – certainly not a fixed period for it to be followed in every case.”
The authors quote the famous Deobandi theologian Ashraf Ali Thanvi (1863-1943) on this count: “A man pronounces a revocable talaq. He reconciles and resumes cohabitation. A few years later under some provocation he pronounces a revocable talaq once again. On recovering from provocation he again resumes cohabitation. Now two talaqs are over. Thereafter whenever he pronounces a talaq it will be counted as the third talaq which will dissolve the marriage forthwith.”
It is said that Talaq-ul-Bidat, or the procedure of giving three talaq in one sitting, was an innovation undertaken to ensure an incorrigibly acrimonious couple could part ways as quickly as possible. It is also claimed that this innovation was resorted to provide relief to women wishing to escape from their exploitative husbands inclined to pronouncing talaq to threaten their partners and then withdrawing it.
Nevertheless, it did become an acceptable procedure of divorce in the Muslim world. There are traditions dating back to the times of Prophet Muhammad and immediately thereafter. There was indeed consensus among the scholars of the four Sunni schools of jurisprudence – Hanafi, Maliki, Hanbali and Shafii – over the legal validity of pronouncing talaq thrice in one sitting.
Three equals one
This consensus was broken by the Hanbali scholar, Ibn Taimiyah (1268-1328), who argued that three talaqs in one sitting counts as one. The three-in-one position was considered a minority view, but over the last century more than 20 countries have adopted it.
The first country to deviate from the majority opinion of Muslim jurists was Egypt, which through Law No 25 of 1929 declared that a talaq, regardless of whether accompanied by a number, will be counted as one and will be considered as a revocable divorce. The only exception to this law is when three talaqs are given in three successive tuhrs. Sudan followed suit in 1935 with some additional provisions.
Dr Munir writes, “The Syrian law of 1953 combined the provisions of the Egyptian and the Sudanese laws by providing that if a divorce is coupled with a number, expressly or impliedly, not more than one divorce shall take place and every divorce shall be revocable except a third divorce, a divorce before consummation, and a divorce with consideration, and in this law such a divorce would be considered irrevocable.”
Most of the Muslim countries – from Iraq to Jordan to Indonesia to the United Arab Emirates and Qatar – have accepted Taimiyah’s position on triple talaq.
In fact, Tunisia has gone beyond even Taimiyah. Its Code of Personal Status, adopted in 1956, does not recognise a divorce given outside a court of law, which is required to investigate the reasons for a couple parting ways and seek to reconcile them. Only at its failure to bring about reconciliation is the divorce decree given. Algeria, too, adopted this code, besides earmarking 90 days for completing the reconciliation process.
On quite another track went Turkey, which under Mustafa Kemal Ataturk adopted the Swiss Civil Code in 1926. The Swiss Code was considered Europe’s most progressive law – obviously, Islamic laws governing divorce and marriage were cast aside. The Turkish Civil Code was revised in 1980s, but it remained insulated from undue religious imprint. Subsequently, Cyprus adopted the Turkish Civil Code.
In undivided India, however, triple talaq grew deep roots in the popular consciousness. Whether out of ignorance or notions of patriarchy, the procedure of pronouncing talaq three times in one sitting became the dominant norm. In fact, many Muslims still erroneously believe thatTalaq-ul-Bidat is the only procedure of divorce available to them.
Thus, in moments of extreme anger, husbands have known to pronounce triple talaq in one sitting – and then live to rue their act. Clerics tell them that there is no possibility of withdrawing talaq and that they can cohabit with their wives only after they have been through an intervening marriage and a divorce, in accordance with the rules of halala.
Change in Pakistan
In Pakistan, however, a relook at triple talaq was initiated because of a controversy. In 1955, then Prime Minister Muhammad Ali Bogra married his secretary even though he hadn’t divorced his first wife. It triggered protests by the All Pakistan Women’s Association, prompting the government to establish a seven-member Commission on Marriage and Family Laws.
The Commission recommended in 1956 that pronouncement of three talaqs in one session should be counted as one. That a divorce to be effective must have the husband pronounce talaq in three successivetuhrs, and that he could not divorce his wife till the time he secures an order to this effect from a matrimonial and family court.
The last recommendation came under stringent criticism by a Commission member, Maulana Ehtesham-ul-Haq Thanavi. In his dissent note, the Maulana said the recommendation requiring the husband to seek an order from a court before giving talaq amounted not only to “tampering with the injunctions of the faith but also putting obstacles in the way of dissolution even when it becomes necessary and desirable.”
It was primarily because of his objection that the Pakistani government did not provide for court intervention in divorce when it issued the Muslim Family Law Ordinance in 1961. Section 7 of this Ordinance relates to talaq and has six subsections:
- Any man after pronouncing “talaq in any form” has to give notice to the Chairman of the Union Council (an elected local government body) informing him about it and also supply a copy to his wife.
- Failure to do so could invite punishment up to one year or a fine of Rs 5,000.
- A talaq will not be effective until the expiry of 90 days after the man had served notice to the chairman.
- Within 30 days of receiving the notice, the chairman is required to constitute an arbitration council for reconciling the couples.
- If the wife is pregnant, the talaq shall not be effective until the expiry of 90 days or the pregnancy, whichever is later;
- “Nothing shall debar a wife whose marriage has been terminated by talaq effective under this section from marrying the same husband, without an intervening marriage with a third person, unless such termination is for the third time, so effective.”
Jurists were of the view that Section 7 (6) of the ordinance had implicitly abolished the system of triple talaq or Talaq-ul-Bidat. This is because even though subsection (1) speaks of “talaq in any form” – thereby includingAhsan, Hasan and Talaq-ul-Bidat – the other provisions of the ordinance makes the procedure of reconciliation mandatory. However, since no reconciliation is possible when triple talaq is given in one session and the marriage stands dissolved forthwith, the ordinance is said to have impliedly abolished Talaq-ul-Bidat.
Second, it is deemed to have been also abolished because subsection (6) allows, as Dr Munir notes, “remarriage between the two parties after the divorce without an intervening marriage or halala, which, under section 7, becomes imperative following the third such pronouncement (of talaq).” In other words, the MFLO doesn’t envisage a person giving talaq thrice in one sitting. Each has to be separated in time to allow the process of reconciliation.
The view that the MFLO had impliedly abolished triple talaq in one session was upheld by the Supreme Court in Syed Ali Nawaz Gardezi v Lt. Col Muhammad Yusuf. It remains abolished till date.
When Bangladesh was born in 1971, the new country inherited the MFLO regulating marriage and divorce laws. Consequently, triple talaq remains abolished in Bangladesh as well. Judicial verdicts on cases involving the MFLO pertains to – as it does in Pakistan too – whether or not the failure to give notice to the chairman of Union Council leads to automatic revocation of divorce.
Verdicts in India
It is not that judicial verdicts in India haven’t led to the annulment of triple talaq. For instance, in a 2008 case titled Masroor Ahmad v state, a Muslim judge of the Delhi High Court, Badar Durrez Ahmad ruled that triple talaq in India should be deemed as a single revocable talaq. Again, in Jiauddin Ahmed v Anwara Begum, the Gauhati High Court said that a talaq must be “for a reasonable cause” and must be preceded by attempts at reconciliation.
Given that a large section of Muslim women has been demanding an end to triple talaq, brought out through several opinion polls, the AIMPLB’s refusal to reform the Muslim Personal Law on this aspect is ostrich-like. It should study the reforms several Muslim countries have adopted in order to abolish triple talaq.
Subscribe to:
Posts (Atom)
Citizenship Bill: West Bengal CM Mamata Banerjee Supports Bhupen Hazarika's Son
West Bengal chief minister Mamata Banerjee on Tuesday came out in support of Assamese singer-composer Bhupen Hazarika's son on the Ci...

-
In a highly anticipated move, the Indian Railways’ new AC-III tier compartment will come loaded with features like CCTV cameras in the a...
-
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন ইমামরা ইমাম ও মোয়াজ্জেন ভাতা বৃদ্ধির...
-
West Bengal chief minister Mamata Banerjee on Tuesday came out in support of Assamese singer-composer Bhupen Hazarika's son on the Ci...